আরশাদুল ইসলাম ঝন্টু স্টাপ রিপোটার কেশবপুর যশোরঃযশোরের কেশবপুরে মাছ চাষে সুষম খাদ্য হিসাবে প্রাকৃতিক শ্যাওলা ব্যবহার করে সফল হচ্ছেন ঘের মালিকরা। তারা বিল ও জলাশয় থেকে ‘পাটা শ্যাওলা, চুনে শ্যাওলা, চিকুন শ্যাওলা’ সংগ্রহ করে মাছকে খাদ্য হিসেবে দিচ্ছেন। এতে মাছ দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে, সতেজ থাকছে এবং রোগবালাই থেকেও রক্ষা পাচ্ছে। একই সঙ্গে বাণিজ্যিক খাদ্যের খরচও উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যাচ্ছে।
উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, কেশবপুরে বর্তমানে ৪ হাজার ৬৫৮টি মাছের ঘের রয়েছে। ঘের মালিকরা জানান, শ্যাওলা ব্যবহারে মাছ প্রাকৃতিক স্বাদে বেড়ে ওঠে এবং পরিবেশেরও কোনো ক্ষতি হয় না। বরং বিল ও জলাশয়ের দেশি প্রজাতির জন্যও অনুকূল পরিবেশ তৈরি হয়।
সরেজমিন উপজেলার বিভিন্ন বিল এলাকায় দেখা যায়, সকাল থেকেই ঘের লোকজন পাটা নামে এক প্রকার চিকন শ্যাওলা সংগ্রহ করছেন। ভোগতী নরেন্দ্রপুরের বিল থেকে শ্যাওলা সংগ্রহ করছিলেন হাবাসপোল এলাকার ঘের ব্যবসায়ী আবদুর রহমান। তিনি বলেন, ঘেরের মাছ মোটাতাজাসহ রোগ-বালাই থেকে রক্ষা করতে শ্যাওলা খুবই উপকারী।
কপোতাক্ষ নদ থেকে থেকে শ্যাওলা সংগ্রহ করেন এিমোহীনি এলাকার মিজানুর রহমান ও আয়ুব আলী,বিনয় কাকা, তারা বলেন, ঘের মালিকরা মাছ চাষে বিলের শ্যাওলা ব্যবহার করায় তারা প্রতিদিন কাজ পাচ্ছেন। তাঁরা প্রতিদিন নদ থেকে এই চুনে শ্যাওলা সংগ্রহ করে আলমসাধু গাড়ি প্রতি ৯০০/১০৫০ টাকা থেকে হাজার টাকা পযন্ত ব্রিক্রয় করে থাকেন বলেও জানান।
ঘের ব্যবসায়ী শাহিন বলেন, শ্যাওলা মাছকে রোগমুক্ত রাখে এবং সুস্বাদু করে তোলে। অন্যদিকে স্থানীয় শ্রমজীবীরাও প্রতিদিন শ্যাওলা সংগ্রহের কাজে যুক্ত হয়ে উপার্জনের সুযোগ পাচ্ছেন।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সুদীপ বিশ্বাস জানান, শ্যাওলা মাছের অত্যন্ত পুষ্টিকর খাদ্য। এ পদ্ধতি পরিবেশবান্ধব, টেকসই এবং উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি স্থানীয় মানুষের আয়-রোজগার বাড়াতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।