নিউজ ডেস্ক : ভারতে কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে ৫,৭৫৫ জনে দাঁড়িয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ, কেরালা, দিল্লি এবং মহারাষ্ট্র সহ বিভিন্ন রাজ্যে নতুন কেস পাওয়া গেছে। যদিও JN.1 স্ট্রেনটি এখনও প্রভাবশালী, নতুন সাবভেরিয়েন্টগুলির উত্থান উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
৮ জুন-এর লেটেস্ট আপডেট অনুসারে, ভারতে কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা উদ্বেগজনকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে, সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৫,৭৫৫ জনে দাঁড়িয়েছে।
এদিকে বাংলাদেশে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণের হার আবারও ঊর্ধ্বমুখী। এই পরিস্থিতিতে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় জনসমাগমপূর্ণ এলাকায় মাস্ক ব্যবহারে সবাইকে অনুরোধ জানিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। বিশেষ করে বয়স্ক এবং অসুস্থ ব্যক্তিদের ভিড়যুক্ত স্থান এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
বর্তমানে করোনাভাইরাসের প্রধান রূপটি যা এই রোগের নতুন বিস্তার ঘটাচ্ছে সেটি এনবি.১.৮.১ নামে পরিচিত। এর কারণে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, থাইল্যান্ড, চীন এবং হংকংসহ অন্যান্য দেশে আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ২০২৩ সালের সংজ্ঞা অনুসারে, ভিইউএম হলো এমন একটি ভেরিয়েন্ট যার জিনগত পরিবর্তন হয়েছে, যা করোনাভাইরাসের আচরণকে প্রভাবিত করতে পারে বলে মনে করেন বিজ্ঞানীরা। প্রাথমিক তথ্য থেকে জানা যায়, এই ভেরিয়েন্টটি অন্যদের তুলনায় দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে বা আরও সহজে ছড়িয়ে পড়তে পারে। তবে এটি এখনো নিশ্চিত করা হয়নি।
এছাড়া স্বাস্থ্য, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বা সংক্রমণের ওপর করোনার এই ভেরিয়েন্টের প্রভাবের প্রমাণ এখনও স্পষ্ট নয়।
চিকিৎসকরা বলেছেন, কোভিড সংক্রমণ, এই সংক্রান্ত গুরুতর অসুস্থতা এবং আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু ঠেকাতে টিকা একটি শক্তিশালী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা।
তবে ভাইরোলজিস্ট হেরেরো’র মতে, সহজে ছড়িয়ে পড়ার পাশাপাশি এনবি.১.৮.১ টিকা বা পূর্ববর্তী সংক্রমণ থেকে অর্জিত রোগ প্রতিরোধ সক্ষমতা ‘আংশিকভাবে এড়িয়ে যেতে পারে’।
স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ বলছে, বর্তমান কোভিড টিকাগুলো করোনার এই ভেরিয়েন্টের বিরুদ্ধে ‘আপাতত’ কার্যকর হবে এবং মানুষকে গুরুতর অসুস্থতা থেকে রক্ষা করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনাভাইরাসের নতুন ভেরিয়েন্টটি আগের যেকোনো ভেরিয়েন্টের চেয়ে বেশি মারাত্মক বা প্রাণঘাতী- এমন কোনো প্রমাণ মেলেনি। তবে, এটি আরও সহজে ছড়িয়ে পড়ে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।