শহর প্রতিনিধি : যশোর সদর উপজেলার বড় গোপালপুর গ্রামে যৌতুকের দাবিতে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়ে সুমাইয়া আক্তার সুমনা (২০) নামে এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিহত সুমনা উপজেলার চাঁনপাড়া গ্রামের মো. মেজবার আলীর মেয়ে ও নওয়াপাড়া ইউনিয়নের বড়গোপালপুর হৃদয় হাসানের স্ত্রী।
নিহতের ভাই মো. সুমন হোসেন কোতোয়ালী মডেল থানায় দায়ের করা অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেন, প্রায় আড়াই বছর আগে সুমনার সঙ্গে হৃদয় হাসানের ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক বিবাহ হয়। বিবাহের পর থেকেই স্বামী হৃদয় হাসানসহ তার পরিবারের সদস্যরা যৌতুকের জন্য সুমনার উপর নির্যাতন শুরু করে।
অভিযোগে আরও বলা হয়, বিবাহের পর থেকে শ্বশুরবাড়ির পক্ষ থেকে একাধিকবার নগদ অর্থ, স্বর্ণালংকার, আসবাবপত্র ইত্যাদি দাবি করা হয় এবং এসব দাবির কিছু কিছু পূরণ করা হলেও নির্যাতন বন্ধ হয়নি। সর্বশেষ গত ২৯ মে হৃদয় হাসান ও তার পরিবারের সদস্যরা সুমনাকে বাপের বাড়িতে পাঠিয়ে দেন।
পরদিন ৩০ মে সকালে পরিবারের সদস্যরা সুমনাকে শ্বশুরবাড়ি ফিরে যেতে বলেন এবং যৌতুকের টাকা পাঠানোর আশ্বাস দেন। তবে বিকেলে সুমনা মোবাইল ফোনে জানান, তাকে আবারও মারধর করা হচ্ছে এবং টাকা না আনার কারণে গালিগালাজ করা হচ্ছে। এরপর থেকে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
বিকেল ৫টার দিকে সুমনার শ্বশুর ফোন করে জানান, সুমনা গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে এবং তাকে যশোর সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে পরিবারের সদস্যরা হাসপাতালে গিয়ে সুমনার মৃতদেহ শনাক্ত করেন।
এ ঘটনায় নিহতের ভাই থানায় হৃদয় হাসান, তার বাবা হারেজ, মা সম্পা, চাচা টুকু এবং পরিবারের অন্য সদস্যদের বিরুদ্ধে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেছেন।
এ বিষয়ে কোতোয়ালী থানার ওসি বলেন, অভিযোগ গ্রহণ করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ও তদন্তের ভিত্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।