জেলা প্রতিনিধি যশোর : বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমানের (৪৪)তম শাহাদাৎ বার্ষিকী। ১৯৮১ সালের এই দিনে দেশি-বিদেশি চক্রান্তে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে হত্যার শিকার হন তিনি।
স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার ও জেড ফোর্সের অধিনায়ক ছিলেন। ক্ষমতায় থাকা কালে জিয়াউর রহমানের প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বা বিএনপি বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক শক্তিতে পরিণত হয়।
শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর সামাজিক কার্যক্রমের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল,, সবুজ বিপ্লব, শিল্প উন্নয়ন এবং খাল খননের কর্মসূচি, যুগোপযোগী ও আধুনিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা প্রবর্তনের মধ্য দিয়ে স্বনির্ভর বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় বিশেষ ভূমিকা রেখেছেন। নারী সমাজের উন্নয়ন ও শিশুদের বিকাশে তার আগ্রহ জাতিকে নতুন দিকনির্দেশনা দেয়। তার সততা, কর্তব্যনিষ্ঠা ও দেশপ্রেম ছিল অতুলনীয়।
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমানের শাহাদাৎ বার্ষিকীতে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছেন বিএনপি ও এর অঙ্গসহযোগী সংগঠন। এ বছর টানা ৮ দিনের কর্মসূচি পালিত হচ্ছে।
এর মধ্যে রয়েছে আলোচনা সভা, পোস্টার ও বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ, কালো ব্যাজ ধারণ, কালো পতাকা উত্তোলন, জিয়ার কবরে ফুল দেওয়া ও ফাতেহা পাঠ, দরিদ্রদের মধ্যে খাদ্য ও বস্ত্রসামগ্রী বিতরণ এবং রক্ত দান কর্মসূচি। গত ২৬ মে থেকে শুরু হওয়া এ কর্মসূচি চলবে ২ জুন পর্যন্ত।
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমানের শাহাদাৎ বার্ষিকীতে, যশোরের সকল কর্মসূচিতে অংশ নেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক নার্গিস বেগম এবং খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত।