বিশেষ প্রতিনিধি,মোঃ ফজলুল কবির গামা :মাত্র ১২০ টাকা খরচ করে স্বপ্ন পূরণ হলো ঝিনাইদহের ২৫ তরুণ-তরুণীর। ঘুষ-তদবির ছাড়াই পুলিশে চাকরি হয়েছে তাদের। মূল্যায়ন হয়েছে মেধা ও যোগ্যতার। পূরণ হয়েছে হতদরিদ্র বাবা-মায়ের স্বপ্ন।
খুশিতে কেঁদে ফেললেন অনেকে। আর দায়িত্ব ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে পুলিশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার আহ্বান জানালেন পুলিশ সুপার।
তুষার আহমেদ। বাড়ি ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ড উপজেলার দারিয়াপুর গ্রামে।
সকল রকম পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর তুষার আহমেদ বলেন, আমার জীবনের সবচেয়ে খুশির দিন আজ। টাকা ও তদবির ছাড়া চাকরি হয় এটি আজই দেখলাম। বাবা বেঁচে থাকলে আজ খুব খুশি হতেন।
পুলিশ লাইন্সে ফল ঘোষণার পর পুলিশ কনস্টেবল পদে চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ এসব প্রার্থীরা এভাবেই নিজেদের অনুভূতির কথা জানান।
চূড়ান্ত এ ফলাফল ঘোষণা করেন জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মঞ্জুর মোর্শেদ।
এভাবেই মোট ২৫ জন শুধু মেধা ও যোগ্যতায় পুলিশে চাকরি পেয়েছেন।
জেলা পুলিশ সুপার মো. মঞ্জুর মোর্শেদ সংবাদ কর্মীদের জানান, এবার জেলায় পুলিশের ২৫ জন কনস্টেবল নিয়োগে গত ১০, ১১ ও ১২ জুলাই ১ হাজার ৮৮০ জন চাকরি প্রার্থী প্রাথমিক পরীক্ষায় অংশ নেন। এতে যাচাই-বাছাইয়ের পর শারীরিক সক্ষমতা অর্জন করেন ২৭৯ জন চাকরি প্রার্থী।
গত ২৩ আগস্ট তাদের মধ্যে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন ৩৪ জন। আর রবিবার (৩১ আগস্ট) মৌখিক পরীক্ষা শেষে চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ হন ২৫ জন।
তিনি বলেন, পুলিশ মহাপরিদর্শক মহোদয় শতভাগ স্বচ্ছতার সঙ্গে এ নিয়োগ সম্পন্ন করার জন্য কড়া নির্দেশনা দিয়েছিলেন। আমরা পেশাদারিত্ব, সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে এ নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছি।
ঝিনাইদহ পুলিশের এমন কাজে সাধারণ জনগণের কাছে ঝিনাইদহ পুলিশের খ্যাতি বেড়েই চলেছে। হতদরিদ্র পরিবারের সদস্যরা নিজ সন্তানের এমন সাফল্যে খুশি হয়ে ঝিনাইদহ পুলিশকে প্রাণ ভরে দোয়া করেছেন।
নির্বাচিতরা বলেছেন আমরা অবশ্যই সততা ও নিষ্ঠার সাথে সকল পরিবেশে আমাদের দায়িত্ব পালন করে যাবো।