যশোর অফিস : মাগুরা শালিখার শরুশুনা গ্রামের সিরাজুল ইসলাম ও তার ভাইয়ের ক্রয়কৃত হাজরাহাটি মৌজার ৫০ শতক জমি জোরপূর্বক দখল করে নিয়েছে একই গ্রামের অয়েজ উদ্দিন ও তার লোকজন। এ ঘটনায় স্থানীয় ভাবে সালিশ ও থানায় অভিযোগ দিয়েও কোন ফল পাচ্ছেনা ভুক্তভোগী সিরাজুল ইসলাম। অজেয় উদ্দিন ও তার লোকজন রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে জমির দখলদাত্বি বজায় রেখেছে।
সিরজুল ইসলামের অভিযোগে জানা গেছে, শালিখার হাজরাহাটি মৌজার এসএ ৮৪০ খতিয়ানের মালিকের কাছ থেকে ১৯৮৩ সালের ১১ সেপ্টেম্বর ৩৮৫৪ দলিলমুলে ৫০ শতক শতক জমি ক্রয় করেন শতপাড়ার ছুটু বীবী। আরএস রেকর্ডের সময় জমির মালিক উপস্থিত না থাকায় ১/১ খতিয়ানে জেলা প্রশাসক মাগুরার নামে রেকর্ড হয় এ ৫০ শতক জমি। পরবর্তীতে ওয়ারেশ সূত্রে মালিক মরহুম শেখ ছলেমান বুঝতে পেরে জামির মালিক ল্যান্ড সার্ভে মাগুরা আদালতে মামলা করেন এবং রায় অনুকুলে আসলে তাদের নামে নামপত্তন করে কর-খাজনা পরিশোধ করেন। পরবর্তীতে ওয়ারেশ সূত্রে এ জমির মালিকানা লাভ করেন হাজরাহাটি গ্রামের মৃত শেখ ছলেমানের তিন ছেলে মশিয়ার রহমান শেখ, লাভলু শেখ ও জুয়েল।
২০২৩ সালে এ জমির বিক্রির সংবাদ জানতে পারেন শুরুশুনা গ্রামের সিরাজুল ইসলাম ও তার ভাই ফারুক হোসেন। পরবর্তীতে সিরাজুল ইসলাম ও তার ভাই ফারুক হোসেন তাদের আরএস ৪৫৫৮, ৪৩৪১, ৪৪৮৫ ও ৪৪৮৬ দাগের ৫০ শতক জমি ওই বছরের ২৭ ডিসেম্বর জমি দলিলমূলে ক্রয় ও নামপত্তন করে ভোগদখল শুরু করেন।
সিরজুল ইসলাম জানিয়েছেন, শরুশুরা গ্রামের লুৎফর রহমানের ছেলে অয়েজ উদ্দিন আমাদের ভোগদখলীয় এ জমির ফসল কেটে নিয়ে চাষাবাদ শুরু করে। জমির দখল উচ্ছেদ করতে গেলে অয়েজ ও তার লোকজন খুন জখম করবে বলে হুমকি দিচ্ছে। এ ঘটনায় স্থানীয় ভাবে মীমাংসায় ব্যর্থ হয়ে থানায় অভিযোগ আদালতে মামলা করেছি। তারপরও রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে অয়েজ ও তার লোকজন জমির দখলদারিত্ব বজায় রেখেছে। এব্যাপারে তিনি স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগীতা কমনা করেছেন।