
যশোর অফিস :যশোরের মণিরামপুরে স্কুলছাত্র শিমুল হত্যা মামলায় নতুন তথ্য বেরিয়ে এসেছে। স্থানীয়দের দাবি, শিমুলের চাচাতো ভাই সবুজের স্ত্রী আসমিরার সঙ্গে শিমুলের পরকীয়া সম্পর্কই হত্যার মূল কারণ হতে পারে। তবে তদন্তকারী কর্মকর্তা এ দিকটি এড়িয়ে গিয়ে নিরীহ কয়েকজনকে আসামি করে চার্জশিট দিয়েছেন।
মামলার সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর রাতে অজ্ঞাত কেউ শিমুলকে ফোনে ডেকে নিয়ে যায়। পরদিন সকালে তার গলাকাটা লাশ উদ্ধার হয়। শিমুল স্থানীয় কাশিমপুর বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিল।
পুলিশের তদন্ত প্রতিবেদনে অসংখ্য গড়মিল পাওয়া গেছে। অনেক সাক্ষীর জবানবন্দি নিজ হাতে লেখা নয়, টাইপ করা। এমনকি শিমুল জীবিত অবস্থায় বিদেশ পাঠানো হয়েছে বলে উল্লেখ থাকলেও, এজাহারে তাকে খুন করা হয়েছে বলা হয়েছে।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আব্দুল মান্নান উৎকোচ না পেয়ে আব্দুস সামাদ ও তার পরিবারের সদস্যদের মিথ্যা আসামি করেছেন। কিন্তু হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধার হয়নি এবং প্রকৃত হত্যাকারীদের চিহ্নিত করা যায়নি।
এলাকাবাসীর দাবি, মামলাটি পুনঃতদন্ত করলে প্রকৃত সত্য বেরিয়ে আসবে।
Like this:
Like Loading...