
যশোর অফিস: যশোরে প্রেমের সম্পর্ক ছিন্ন না করায় নিজের ছেলেকে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে প্রচার চালিয়ে শেষ পর্যন্ত রক্ষা পেলেন না নিহত ইমন খানের পিতা ইসমাইল হোসেন খান ও চাচা সাইদ খান। দুই বছর পরে এই ঘটনায় নিহতের আরেক চাচা হাসান খান বাদী হয়ে তার আপন দুই সহোদরের বিরুদ্ধে গতকাল সোমবার যশোর আদালতে মামলা করেছেন। বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট অবন্তিকা রায় এই ব্যাপারে কোন মামলা হয়েছে কিনা আগামি ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য বাঘারপাড়া থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।
বাদী মামলায় বলেছেন, আসামি ইসমাইল হোসেন ও সাইদ খান তার আপন দুই ভাই। ইমন খান ইসমাইল হোসেনের ছেলে। ইমন ইচ্চ মাধ্যমিকে লেখাপড়া করতো। জাকিয়া সুলতানা নামে একটি মেয়ের সাথে ইমনের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিষয়টি ইমনের পিতা জানতে পারেন। ফলে তাকে জাকিয়ার সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিন্ন করতে টাপ সৃষ্টি করে ইমনের পিতা ইসমাইল হোসেন খান। কিন্তু রাজি না হওয়ায় তাকে খুন করার হুমকি দেয়া হয়। এরপরও ্েরপমের সম্পর্ক ছিন্ন না করায় ২০২৩ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর বেলা ১১টার দিকে ইমনের পিতা ইসমাইল হোসেন খানও তার চাচা সাইদ খান ঘরের দরজা বন্ধ করে ইমনকে পিটিয়ে হত্যা করে। ইমনের মৃত্যুর পরে নিজেদের রক্ষা করতে ফ্যানের সাথে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যার কথা প্রচার করে। এরই মধ্যে ইমনকে ২শোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেওেল কতর্ৃব্যরত চিকিৎক মৃত ঘোষণা করে। তবে হাসপাতালে নেয়ার সময় ইমনের গায়ে একাধিক স্থানে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়। কিন্তু হাসপাতালে ময়না তদন্ত শেষে লামটি বাড়িতে নিয়ে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। এই ব্যাপারে বাঘারপাড়া থানায় ২৯/২৩ নম্বর একটি অপমৃত্যু মামলা করা হয়েছিল। পাশাপাশি এই ব্যাপারে থানা পুলিশ কোন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। ফলে বাদী হয়ে দুই বছর পরে আদালতে এই মামলাটি দায়ের করা হলো।
Like this:
Like Loading...