1. live@www.jashorebulletin.com : যশোর বুলেটিন : যশোর বুলেটিন
  2. info@www.jashorebulletin.com : যশোর বুলেটিন :
শুক্রবার, ০১ অগাস্ট ২০২৫, ০৫:৫২ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
কেশবপুর উপজেলা ও পৌর বিএনপি’র জরুরী যৌথ সভা অনুষ্ঠিত ⛵ নৌকা ভ্রমণ ২০২৫ চা-বাগানের সবুজে, মকশ বিলে ঢেউ– প্রাণের টানে একত্রিত জামালপুরবাসী, গাজীপুরে উৎসবের ঢেউ! যশোরে ৩৫০ পিস ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার গলদা চিংড়ি উৎপাদনে বাগেরহাট প্রথম যশোর জেলা জামাতের আমীর অসুস্থ, সকলের নিকট দোয়া কামনা শার্শায় ভ্যান থামিয়ে হতদরিদ্রের চাল ছিনতাইয়ের অভিযোগ বেনাপোলে এক কেজি গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক যশোরে স্ত্রীর আপত্তিকর ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকিদাতা কারাগারে যশোরে ভাটা শ্রমিক ধর্ষণ: দুই যুবকের বিরুদ্ধে চার্জশিট “মার্চ ফর জাস্টিস” দিবস উপলক্ষে যশোরে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের পদযাত্রা

মনিরামপুরে শিমুল হত্যা মামলা: পুনঃতদন্তের দাবি এলাকাবাসীর

প্রতিনিধির নাম :
  • প্রকাশিত: বুধবার, ৩০ জুলাই, ২০২৫
  • ৪৯ বার পড়া হয়েছে

যশোর অফিস: যশোরের মনিরামপুর উপজেলার সরশকাটি গ্রামের স্কুলছাত্র শিমুল হত্যার প্রকৃত রহস্য উদঘাটনে পুনঃতদন্তের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। অভিযোগ উঠেছে, মামলার শুরু থেকেই সুষ্ঠু তদন্ত হয়নি এবং নিরীহ মানুষদের আসামি করা হয়েছে।
২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর রাত ৮টার দিকে মোবাইল ফোনে ডাক পেয়ে বাড়ি থেকে বের হয় শিমুল। পরদিন (১১ অক্টোবর) সকালে গ্রামের পাশের পাকা রাস্তার পাশে তার গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সে বছরের এসএসসি পরীক্ষার্থী শিমুল ছিলেন আনছার সদস্য রফিকুল ইসলামের ছেলে।
মামলাটি মনিরামপুর থানায় দায়ের হয় (নম্বর-১৫, তাং১১/১২/২০১৮)। তবে মামলায় যাদের আসামি করা হয়েছে, তারা প্রকৃত হত্যাকারী নয় বলে দাবি করেছেন স্থানীয়রা। গ্রামবাসীর ভাষ্য, এজাহারে যাদের নাম নেই, তাদেরই ফাঁসানো হয়েছে। এ ঘটনায় দলীয় কোন্দলের প্রভাব এবং ব্যক্তিগত লেনদেনের জেরও রয়েছে বলে গুঞ্জন রয়েছে।
মামলার ২ নম্বর আসামি আব্দুস সামাদ মোড়ল অভিযোগ করেছেন, আনসারে চাকরি দিতে শিমুলের পিতা রফিকুল ইসলামকে তিনি ৮ লাখ টাকা দিয়েছিলেন। পরে চাকরি না হওয়ায় ওই টাকা ফিরিয়ে নেওয়া হয় এবং বিষয়টি স্ট্যাম্পে লিপিবদ্ধ করা হয়। এরপরও তাকে ও তার জামাতা-ছেলেকে মামলায় জড়ানো হয়েছে। তাদের দাবি, তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মান্নান ৩ লাখ টাকা ঘুষ না পাওয়ায় তাঁদের মামলায় আসামি করেছেন।
তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী, হত্যার পেছনে শিমুলের পারিবারিক বিরোধ ও একটি প্রেমসংক্রান্ত বিতর্কেরও ইঙ্গিত রয়েছে। প্রতিবেদন অনুসারে, শিমুলের এক চাচাতো ভাইয়ের স্ত্রীর সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতার কারণে পারিবারিক বিরোধ দেখা দেয়। তদন্তে উল্লেখ না থাকলেও এলাকাবাসীর মতে, এই বিষয়টিই হত্যাকাণ্ডের মূল কারণ হতে পারে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, শিমুল কোথায় খুন হয়েছেন, কী ধরনের অস্ত্র ব্যবহৃত হয়েছে বা কোনো আলামত উদ্ধার হয়েছে কি না—এসব গুরুত্বপূর্ণ দিক তদন্ত প্রতিবেদনে উপেক্ষিত রয়েছে। এমনকি হত্যার স্থানেও রক্ত বা সংঘর্ষের চিহ্ন মেলেনি। এতে সন্দেহ দানা বেঁধেছে যে শিমুলকে অন্য কোথাও হত্যা করে মরদেহ ফেলে রাখা হয়েছিল।
মামলার স্বাক্ষী ও স্থানীয় পুলিশ সদস্য আবু মুছা বলেন, “আমাকে সাদা কাগজে সই করিয়ে পরে স্বাক্ষী বানানো হয়। যাদের আসামি করা হয়েছে, তারা নিরীহ মানুষ।”
শিমুল হত্যার ৭ বছর পেরিয়ে গেলেও প্রকৃত খুনিদের শনাক্ত করা যায়নি। এলাকাবাসীর দাবি, নতুন করে নিরপেক্ষ তদন্ত হলে প্রকৃত তথ্য প্রকাশ পাবে এবং নির্দোষরা মুক্তি পাবে।

 

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট