
বিশেষ সংবাদদাতা : মাগুরা সদর উপজেলার মঘী ইউনিয়ন পরিষদে ভিডব্লিউবি চালের কার্ডে ব্যাপক অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ উঠেছে গ্রাম পুলিশ দফাদার নাজমুল ও সচিব মুসলিমার বিরুদ্ধে।
মঘী ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের ভিডব্লিউবি ৩০ কেজি চালের ২৩ নম্বর সিরিয়ালে আবেদনকারী মোছাঃ রাবেয়া, স্বামী- মোঃ কাজী রাজিবুল হাসান, রাবেয়ার পিতা- মৃত ইজাহার আলী বিশ্বাস, জাতীয় স্মার্ট আইডি ১৯৬৫১৩২৬১৪, জমার তারিখ ০৫.০৫.২০২৫, জমির পরিমাণ ৫ শতকের নিচে, পরিবারে উপার্জনকারী ব্যক্তির পেশা দিনমজুর, বৈবাহিক অবস্থা বিবাহিত, ঘরের দেয়াল তৈরি টিন দিয়ে।
এই রাবেয়ার স্বামীর বাড়ি হলো শালিখা উপজেলায় সে কিভাবে মঘী ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের ভিডব্লিউবি চালের কার্ড পেলো?
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, মাগুরা সদর উপজেলার ইউএনও ও মহিলা অধিদপ্তরের নাম ভাঙ্গিয়ে এই অপকর্মের সাথে জড়িত মঘী ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মুসলিমা এবং দফাদার নাজমুল করেছে এই সব তালিকায় নাম। তালিকায় দেওয়া রাবেয়ার মোবাইল ফোন নম্বরে ফোন করলে ফোন রিসিভ করছে দফাদার নাজমুল, কি একটা আশ্চর্য বিষয়। নাজমুল মোবাইল ফোনে কথা হলে জানাচ্ছে আবেদন করার সময় আমার মোবাইল ফোন নম্বর দিয়েছি, তাহলে এটা কি সঠিক নিয়মে পড়লো?
মোছাঃ রাবেয়া বর্তমানে থাকে ফ্ল্যাট বাসায় তিনি মাগুরা শহরের ভায়না টিটিডিসি পাড়ায় আলিশান বাড়িতে থাকেন। এই ভোটার আইডি গুলো চেক দিলে সব বেরিয়ে আসবে থলের বিড়ালের আসল কালপিট কারা?
এছাড়াও অভিযোগ উঠেছে মঘী ইউনিয়নে ৫ নং ওয়ার্ডের বিনা পারভীন, পিঞ্জিরা খাতুন, বন্যা খাতুন, মরিয়া বেগম, সুকরন, বিউটি সহ আরও অনেক নাম প্রথমে তালিকায় ছিলো না। পরে মঘী ইউনিয়ন পরিষদের কিছু দুষ্কৃতি সরকারি ও বেসরকারি লোকজন এই অনিয়ম করে প্রকৃত গরীবদেরকে বাদ দিয়েছে।
সবচেয়ে বড় বিষয় শালিখার মহিলা লোকের নাম ৫ নং ওয়ার্ডের মঘী ইউনিয়নে কিভাবে আসলো?
এব্যাপারে মঘী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাসনা হেনা জানান, আমি এই সব ব্যাপারে কিছুই জানি না সবকিছু করে সাবেক মেম্বার ফাইজুর। আর অফিসে বসে দফাদার নাজমুল ও সচিব মুসলিমা কি করে তার কিছুই আমি জানি না।
বিষয়টি মাগুরা জেলা প্রশাসক মোঃ অহিদুল ইসলাম কে অবগত করা হলে তিনি বলেন মাগুরা সদর উপজেলা পরিষদের ইউএনও কে জানান।