
বাগআঁচড়ায় অনুমোদনহীন ডায়াগনস্টিক সেন্টার খুলে রোগীদের সাথে প্রতারণার অভিযোগ,
অধ্যাপক ডাক্তার গোলাম ফারুকের বিরুদ্ধে
যশোর অফিস : যশোরের শার্শার বাগআঁচড়া বাজারের তরকারি পর্টিতে অনুমোদনহীন একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার খুলে রোগীদের সাথে প্রতারণা করে আসছে বলে অভিযোগ উঠেছে অধ্যাপক গোলাম ফারুক নামের একজন অর্থোপেডিক্স সার্জনের বিরুদ্ধে।
তিনি ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের সংগঠন পেশাজীবি সংগঠন (স্বাচিপ) এর যশোর জেলা শাখার সাবেক সভাপতি।
প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি, ডায়াগনস্টিক সেন্টারের অনুমোদন না থাকলেও প্রশাসনকে ম্যানেজ করে নাকের ডগায় বাগআঁচড়া বাজারের বাঁকড়া রোডের তরকারি পর্টিতে একটি অন্ধকার ঘরে দীর্ঘ দিন যাবত চালিয়ে যাচ্ছেন এই ব্যবসা।
মাঝেমধ্যে তালা ঝুলিয়ে লাপাত্তা হলেও সাস্থ্য সেবার নামে অবৈধভাবে জনাকীর্ণ স্থানে মনোরম সাইনবোর্ড লাগিয়ে চুটিয়ে চলছে মানহীন স্বাস্থ্য পরীক্ষা।
বিশেষ করে তিনি অর্থোপেডিক্স এর সার্জন হওয়ায় সপ্তাহে শুক্রবার এখানে এসে ১০০ বেশী রোগী দেখেন এবং নিজের প্রতিষ্ঠান হওয়ায় রোগী দেখার অজুহাতে বিভিন্ন পরীক্ষা করার পরমার্ম দেন এবং অপ্রয়োজনীয় পরীক্ষা নিরিক্ষা করান।বাইরে থেকে কোন পরিক্ষা করে আনলে তিনি রিপোর্ট দেখার সময় রোগীদের সাথে খারাপ আচরন করেন। মূলত যন্ত্রপাতি না থাকলেও রোগ নির্ণয়ের নামে উচ্চ মূল্যে সব ধরনের পরীক্ষা- নিরীক্ষা করার নামে হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা। ফলে আর্থিক ক্ষতি, স্বাস্থ্য ঝুঁকি ও মৃত্যু ঝুঁকিতে রয়েছেন সাধারণ রোগীরা। অনেক সময় ভুল রিপোট এর কারনে চিকিৎসার খেসারত দিতে উন্নত চিকিৎসার জন্য জমি জমা বিক্রি করে অনেককে রাজধানী এমনকি ভারতেও যেতে হয় রোগীকে নিয়ে।
জানাগেছে,অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ডাক্তার গোলাম ফারুকের গ্রামের বাড়ি ঝিকরগাছা উপজেলার শংকরপুর ইউনিয়নের কুলবাড়িয়া গ্রামে। বাগআঁচড়া বাজারটি তার গ্রামের পাশে হওয়ায় আওয়ামীলীগের প্রভাব খাটিয়ে দীর্ঘদিন আগে ওই বাজারের এক কোনায় গড়ে তোলেন একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার। প্রচার ছিলো গরীব অসহায় রোগীদের কম খরচে চিকিৎসা সেবা দিবেন।তবে হিতেবিপরীত তিনি চড়া মূল্যে দেন চিকিৎসাসেবা।তার একটি ভাই গোলাম মোরশেদ আলী বাংলাদেশ বিমাম বাহিনীতে সিভিল এ চাকরি করেন। তার ভাইকে শুক্রবার ডেকে এনে তাকে দিয়ে করান রোগীদের রক্তের পরিক্ষা। অথচ তার ভাই গোলাম মোরসেদের নেই কোন টেকনিশিয়ানের সার্টিফিকেট।এতো কাল তিনি আওয়ামীলীগের প্রভাব খাটিয়ে এ কাজ করে আসছেন।গত শুক্রবার একজন রোগীকে পরিক্ষা করতে দিলে তিনি ওই ডায়াগনস্টিকে যান।গিয়ে দেখেন গোলাম মোরশেদ পরীক্ষা করছেন। তখন ওই রোগী প্রতিবাদ করলে শুরু হয় হট্টগোল।পরে উপায়ন্তর না পেয়ে ডাক্তার গোলাম ফরুক দ্রুত প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে যশোরে চলে যান।
এদিকে ওখনে জড়ো হওয়া জনতা ও সুধিসমাজ এই অবৈধ ডায়াগনস্টিক সেন্টারটা বন্ধ করতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এ ব্যাপারে ওই প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী ডাক্তার গোলাম ফারুক স্বীকার করে জানান,তার এ ডায়াগনস্টিক সেন্টার এর কোন সরকারি অনুমোদন নেই। তার প্রতিষ্ঠানটি যশোর এ অবস্থিত তার হসপিটালের নামে চলে বলে তিনি জানান।
শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার তৌফিক পারভেজ জানান,এই ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ব্যাপারে তাদের কাছে কোন তথ্য নাই বলে জানান।
Like this:
Like Loading...