
যশোর অফিস : চার দফা দাবিতে পল্লী বিদ্যুতের কর্মীরা গণছুটিতে যাওয়া জরুরি সেবাসহ সকল কাজকর্মে স্থবিরতা নেমে এসেছে। আন্দোলনকারীরা বলছেন দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা কাজে ফিরবেন না। এতে কর্মসূচির প্রথম দিন থেকেই দেখা দিয়েছে ভোগান্তি।
পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তা কর্মচারীরা জানান,দীর্ঘদিন ধরে তারা পল্লী বিদ্যুতের সংস্কার,দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ও আইনগত ব্যবস্থা, চাকরি বৈষম্য দূরীকরণ ও হয়রানিমূলক পদক্ষেপ বন্ধের দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন। একাধিকবার কমিটি গঠনসহ সংকট সমাধানে সরকারের পক্ষ থেকে নানামুখি আশ্বাস দেওয়া হলেও কিছুই বাস্তবায়ন করেনি বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়। উপরন্তু আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকরিচ্যুতি,বদলি, বরখাস্তসহ নানা শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নিয়ে হয়রানি করছে। এ অবস্থায় দাবি আদায়ে যশোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ১ও ২ এর সহস্রাধিক কর্মকর্তা কর্মচারী গতকাল রোববার অনির্দিষ্টকালের জন্য গণছুটির দরখাস্ত জমা দিয়েছেন। এ অবস্থায় বন্ধ হয়ে গেছে জরুরি সেবা, লাইন মেরামত,মিটার স্থাপন, বিলিং কার্যক্রম এবং ওয়ার্কশপের কাজ।
আন্দোলনকারী কামরুল ইসলাম জানান,
আমাদের নায্য দাবি আদায়ে একবছরেরও বেশি সময় ধরে আন্দোলন করছি। বিভিন্ন সময় আশ্বাস দেয়া হলেও তা বাস্তবায়ন করা হয়নি। এবার দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ গণছুটি কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।
তিনি আরো বলেন, আমরা জনভোগান্তি চাই না। দাবি মেনে নিলেই আমরা কাজে ফিরবো।
এদিকে নিয়মিত কর্মচারীদের আন্দোলনের কারণে বিপাকে পড়েছেন দিন হাজিরায় কর্মরত কর্মীরা।
উত্তম কুমার নামে এক কর্মী জানান, ওয়ার্কশপে আমরা ১৭জন দিন হাজিরায় কাজ করি। গণছুটির কারণে আমরাও বিপাকে পড়েছি। আমাদের কাজ বন্ধ হয়ে গেছে। এখন সংসার চলবে কিভাবে সেই চিন্তায় পড়েছি।
এদিকে কর্মসূচির প্রথম দিন থেকেই দেখা দিয়েছে ভোগান্তি। অফিসে কর্মকর্তা কর্মচারীরা না থাকায় ফিরে যেতে হচ্ছে গ্রাহকদের।
আব্দুস সালাম নামে এক গ্রাহক বলেন, দুই দিন আগে কিছু না জানিয়ে আমার মিটারের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। আজ অফিসে এসে দেখি সকলে ছুটিতে গেছে । আমার কাজ করার কেউ নেই। এমন কর্মসূচি হওয়া উচিত না।
আব্দুল জলিল নামে অপর এক গ্রাহক বলেন, আমি নতুন মিটার সংযোগ নেওয়ার জন্য
টাকা জমা দিয়েছি। আজকে অফিস থেকে আসতে বলা হয়েছিলো। এসে দেখি কর্মকর্তা কর্মচারীরা কেউ নেই। কবে তারা কাজ ফিরবে তাও বলছে না। এভাবে চলতে থাকলে দুর্ভোগ বাড়বে।
যশোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার প্রকৌশলী হরিন্দ্র নাথ বর্মন জানান, জন ভোগান্তি কিছুটা দেখা দিয়েছে। বিকল্পভাবে কিভাবে সেবা প্রদান করা যায় তা নিয়ে আমরা আলোচনা করছি। তাছাড়া মন্ত্রণালয় আন্দোলনকারীদের সাথে আলোচনা চেষ্টা করছে। আশা করি বিকাল নাগাদ একটা নির্দেশনা পাওয়া যাবে।
Like this:
Like Loading...