শেখ মাহতাব হোসেন ডুমুরিয়া খুলনা : খুলনা সিটি কর্পোরেশন এলাকায় নবলোক কর্তৃক বাস্তবায়িত এবং ওয়াটারএইড বাংলাদেশের কারিগরী ও আর্থিক সহযোগীতায় পরিচালিত ওয়াশ ফর আরবান পুওর প্রকল্পের আওতায় জেন্ডার ট্রাসফরমেটিভওয়াশ বিষয়ক একটি কর্মশালা বুধবার ২৭ আগষ্ট নগরীর সিএসএস অভা সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব মো: সাইফুল ইসলাম জেলা প্রসাশক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, খুলনা। সভাপতিত্ব করেন ফাহমিদা সুলতানা, সহকারী পরিচালক, মনিটরিং এন্ড ইভালুয়েশন, নবলোক। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কোহিনুর জাহান, এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা খুলনা সিটি কর্পোরেশন, মো. আনোয়ার সাদাত, এনডিসি, খুলনা, সুরাইয়া সিদ্দিকা, উপ-পরিচালক, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর, জনাব এস.এম. বদিউজ্জামান, সহকারী পরিচালক, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর, মোছাঃ মাহামুদা খাতুন, ইনচার্জ, ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার, এ্যাড: সুতপা রায়, ওসিসি, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। এছাড়াও এখানে বিভিন্ন সেক্টর থেকে এনজিও প্রতিনিধি, ওসিসি, ভিক্টিম সাপোর্ট সেন্টারের প্রতিনিধি, কমিউনিটি যুব স্বেচ্ছাসেবক, সিবিও প্রতিনিধি, সমতা সুরক্ষা ফোকাল বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান, সাংবাদিক, নবলোক এবং ওয়াটার এইড বাংলাদেশ এর কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের প্রথমে শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করে অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন ফাহমিদা সুলতানা, সহকারী পরিচালক, মনিটরিং এন্ড ইভালুয়েশন। তুনাজ্জিনা, ওয়াটার এইড বাংলাদেশ এবং এই কর্মশালার উদ্দেশ্য নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন এবং জেন্ডার ট্রাসফরমেটিভ ওয়াশ সম্পর্কিত কার্যক্রম নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। জেন্ডার সেনসিটিভ ওয়াশ ও জেন্ডার বেস ভায়োলেন্স এর উপর প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন হারজিনা জহুরা ওয়াটার এইড বাংলাদেশ। প্রধান অতিথি মো: সাইফুল ইসলাম (জেলা প্রসাশক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, খুলনা) বলেন, ” সঠিক ভারসাম্য বজায় রেখে জেন্ডারের কাজ করে যেতে হবে এবং জেন্ডার ভায়োলেন্সের দূরীকরণের জন্য সকলের মধ্যে মানবিক মূল্যবোধ তৈরি করা”। মোছাঃ মাহামুদা খাতুন, (ইনচার্জ, ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার) বলেন, সেক্সুয়াল ভায়োলেন্স ডিজিটাল ভায়োলেন্স নিয়ে আলোচনা করেন তিনি বলেন স্কুল কলেজ গণসংযোগ ও ডিজিটাল প্লাটফর্মের সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে এই ভায়োলেন্স কমানো সম্ভব। কোহিনুর জাহান, (এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা খুলনা সিটি কর্পোরেশন) বলেন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে বিদ্যালয় ও পরিবার পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সচেতনতা গড়ে তোলার জন্য সকলকে আহবান করেন, যাতে করে তারা নিরাপদ পরিবেশে সুস্থ স্বাভাবিকভাবে জীবন যাপন করতে পারে। উপ-পরিচালক, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর, বলেন, “আমি আমার পুত্রকেও অদূর ভবিষ্যতে একজন নারীর সাথে সংসার করার জন্য উপযুক্ত করে তৈরি করছি”। সভাপতি মহাদোয় উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে কর্মশালার সমাপ্তি ঘোষণা করেন।