
যশোর অফিস :ভবদহ অঞ্চলে পানিবন্দি মানুষের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। ভবদহ পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটির আহ্বায়ক রনজিত বাওয়ালি, যুগ্ম আহ্বায়ক গাজী আব্দুল হামিদ এবং সদস্য সচিব চৈতন্য কুমার পাল এক বিবৃতিতে জানান, ইতোমধ্যে কুলটিয়া ইউনিয়নের ১৪টি, চলিশার ৫টি, সুন্দলীর ১০টি, পায়রার ৫টি, হোগলাডাঙ্গার ৮টি এবং নেহালপুর ইউনিয়নের ৩টি গ্রামসহ মোট ৪৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। প্রতিদিন নতুন নতুন এলাকা পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ঘরবাড়ি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, উপাসনালয় ও ফসলের জমি পানির নিচে চলে যাচ্ছে। পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে, অথচ সরকারি উদ্যোগের বাস্তবায়নে চরম ধীরগতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
সরকার আমডাঙ্গা খাল পুনঃখনন, ৮১ কিলোমিটার নদী খনন এবং টিআরএম (টাইডাল রিভার ম্যানেজমেন্ট) বাস্তবায়নের ঘোষণা দিলেও তার দীর্ঘসূত্রিতা জনগণের দুর্ভোগ বাড়াচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তারা। বর্তমানে ভবদহ সুইচগেটের ২১টি ভেন্টের মধ্যে মাত্র ৬টি খোলা রয়েছে। অবিলম্বে বাকি গেটগুলো খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি, যাতে পানি দ্রুত নিষ্কাশন হতে পারে।
সংগ্রাম কমিটির নেতৃবৃন্দ বলেন, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা ও সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের ধীরগতিই এই দুরবস্থার মূল কারণ। তারা অবিলম্বে আমডাঙ্গা খাল সংস্কার, নদী খনন এবং টিআরএম বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন।
পরিস্থিতি পর্যালোচনা ও পরবর্তী কর্মসূচি নির্ধারণে আগামী ৪ আগস্ট, বিকেল ৩টায় মসিহাটি স্কুলে ভবদহ পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটির এক জরুরি সভা আহ্বান করা হয়েছে।
Like this:
Like Loading...