নিজস্ব প্রতিবেদক : যশোর ২৫০শয্যা হাসপাতালের জরুরি বিভাগের বারান্দায় আজ শনিবার বিকেলের দিকে পড়ে ছিল প্রসুতি ( ইওসি)এক নারী। হাসপাতালে উঠতে উঠতে তিনি পড়ে যান। এরপর তাকে ধরার কেউ ছিলনা। জরুরি বিভাগে দায়িত্ব পালন করছিলেন ডাঃ বিচিত্র মল্লিক। এখানে উপস্থিত ছিলেন নার্স তারকনাথ, আউটসোর্সিং কর্মচারী মিলে ৭/৮ জন। কিন্তু কারোর কোন ভ্রুক্ষেপ নেই। ডা. বিচিত্র মল্লিককে বিষয়টি জানিয়ে ব্যবস্থা করতে অনুরোধ জানানো হলে তিনি অসন্তুষ্ট বোধ করেন। বলেন, আমি কিছু করতে পারবো না। দায়িত্বশীল নাগরিক ( সাংবাদিক) হলে আপনার উচিত রোগী এখানে আনা। আপনার লোকজন তাহলে কি করছে এ বিষয়ে জানতে হলে তিনি বলেন আমি কিছু জানি না। কিছু করতে পারবো না। দায়িত্বশীল নাগরিক হলে নিয়ে আসবেন। তাহলে
এ কথা শুনে সাধারণ মানুষ অসন্তোষ বোধ করেন। পরে হাসপাতালের সামনে ফল বিক্রেতা সদর উপজেলার বিরামপুর গ্রামের আনজু নামে নারী ওই প্রসূতি মাকে নিয়ে হাসপাতালের লেবার ওয়ার্ডে পৌঁছে দেন কিন্তু তার কোন ভর্তি কাগজপত্র ছিল না। এর পর লেবার ওয়ার্ডের সেবিকা কবিতা সরকার স্বেচ্ছা সেবক শিলারানীকে পাঠান ভর্তির কাগজ আনতে। শিলারানী জরুরি বিভাগে গেলে ডা.বিচিত্র মল্লিক বৃস্টি (২৬) নামে ওই প্রসূতিকে বিকেল ৫টা ১৬ মিনিটে হাসপাতালের লেবার ভর্তি করে দেন। বৃস্টি যশোর রেলস্টেশন কলাবাগান এলাকায় থাকেন। তার স্বামীর নাম রাকিব হাসান। তাদের গ্রামের বাড়ি নটোরে।
লেবার ওয়ার্ডে ভর্তি করার পর পরই বৃস্টি খাতুন একটি পুত্র সন্তান লাভ করেন। ডা. দিপান্বতা, সিনিয়র স্টাফনার্স কবিতারানী মন্ডল, সেলিনা খাতুন ও ইন্টার্ণ সেবিকারা উপস্থিত ছিলেন। ডা. দীপান্বিতা কর্মকার বলেন, ৫ টা ৩৩ মিনিটে একটি ছেলে হয়েছে। রোগী সুস্থ আছেন।
তবে জরুরি বিভাগে উপস্থিত লোকজন ডা.বিচিত্র মল্লিকের এহেন আচরণে হতবাক হয়ে বলতে থাকেন এরা কি শুধু বেতনের জন্য চাকরি করেন না জনগণের প্রতি কোন দায়বদ্ধতা আছে তাদের? নার্স তারকনাথ এ সময় ওই চিকিৎসকের পক্ষে তার সাথে সমর্থন দিতে থাকেন।