বিশেষ প্রতিনিধিঃ যশোরের শার্শার উলাশী ইউনিয়নের কাশিয়াডাঙ্গা গ্রামে গৃহবধূকে গণধর্ষণ করে পালিয়ে যাওয়া আসামীদের একজন সিরাজকে বিশেষ অভিযানে আটক করেছে শার্শা থানা পুলিশ। রোববার রাতে সিরাজগঞ্জ থেকে তাকে আটক করা হয়েছে। আটক সিরাজ কাশিয়াডাঙ্গা এলাকার টুকুর জামাই। স্থানীয়দের মতে সিরাজের আসল বাড়ি একই উপজেলার ধলদাহ গ্রামে,বিয়ের পর থেকেই ও শশুর বাড়িতে থাকে। তবে,এই মামলায় নমস্কার অধরা রয়েছেন অভিযুক্ত আমজেদ আলী ও তার একান্ত ঘনিষ্ঠজন আব্দুল্লাহ(ঘটনার মূল হোতা) ।
মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত পহেলা জুলাই শার্শার কাশিয়াডাঙ্গা গ্রামে তারা তিনজন মিলে এক গৃহবধূকে গণধর্ষণ করে। আব্দুল্লাহ মূলত ওই গৃহবধূকে বিভিন্ন সময় কুপ্রস্তাব দিতেন। বিষয়টির প্রতিবাদ করায় ওই গৃহবধূ গণধর্ষণের শিকার হন। ঘটনার পরের দিন স্থানীয় মাতব্বররা অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে গ্রাম্য সালিশ বসিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন। এতে একটি পক্ষের আর্থিক লেনদেনও হয়। তবে আরেকটি পক্ষ গুরুতর অপরাধের বিচার গ্রাম্য সালিশে করায় বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করেন। পুলিশ গিয়ে আইনগত সহায়তা প্রদান করে। এ ঘটনায় তিনজনের বিরুদ্ধে শার্শা থানায় মামলা হয়েছে । পুলিশ অভিযানে নেমে সিরাজকে সিরাজগঞ্জ থেকে আটক করে আদালতে সোপর্দ করে।, অভিযানে নেতৃত্ব দেন ওসি (তদন্ত) খন্দকার শাহ আলম।
শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম রবিউল ইসলাম বলেন, পুলিশ সিরাজকে আটক করার পর তার কাছে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। এমনকি আদালতে ও জবানবন্দি দিয়েছেন। এছাড়া মূল হোতা আব্দুল্লাহ ও আমজেদ আলীকে ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
উল্লেখ্য, ঘটনাটি জানাজানি হলে কাশিয়াডাঙ্গা গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য আদুল হোসেন এবং আকবর আলীর নেতৃত্বে একটি সালিশি বৈঠক বসে। সালিশে অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় অভিযুক্তদের বেদম মারধর করা হয় এবং তিন লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। তবে সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল হোসেন তিন লাখ টাকা জরিমানা আদায়ের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। তিনি দাবি করেন, এলাকাবাসীর অনুরোধে সালিশি বৈঠকে বসা হয়েছিল।