বিশেষ প্রতিবেদক: যশোরে হলুদের গুড়ার অনুমোদন নিয়ে ভেজাল সয়াবিন তেল বাজারজাত করছেন “অনন্যা ফুট প্রডাক্টস” নামে একটি প্রতিষ্ঠান।অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে আর বিভিন্ন কেমিক্যাল মিশিয়ে খোলা তেল ও পামওয়েল তেলকে বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় সয়াবিন তেলে রুপান্তর করে, ভেজাল প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পরিশোধিত করে খোলা বাজারে বিক্রয় করে আসছে দীর্ঘদিন ধরে প্রতিষ্ঠানটি প্রতিনিয়তই ভেজাল ভোজ্যতেল খেয়ে অসংখ্য মানুষ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে, আল্সার, গ্যাস্ট্রিক, ও ক্যান্সারের মতো ভয়াবহ রোগে আক্রান্ত হচ্ছে সাধারণ মানুষ, বেশিরভাগ ভেজাল ভোজ্যতেলের কারণে মানুষের শরীরে ছাড়িয়ে পরছে এই মরণ ব্যাধি রোগ।
ভোজ্যতেলের লাইসেন্স সংক্রান্ত বিষয়ে যশোর বিএসটিআই সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার সাথে কথা বলে জানা যায় ভোজ্যতেলের ক্ষেত্রে বিএসটিআই এর অনুমোদন (বিডিএস) (১৭৬৯) এর অনুমোদন লাইসেন্স দেওয়া হয়। আর সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানটি ব্যবহার করেছেন হলুদের গুড়ার লাইসেন্স যার অনুমোদন নং (৯৯১) এটা প্রকৃত ব্যবহার করা হয় হলুদের গুঁড়ার ক্ষেত্রে।
সংশ্লিষ্ট যশোর বিএসটিআই থেকে আরও জানা যায় ISO/IEC এর গাইড অনুসরণ করে লাইসেন্স গ্রহণ ও করতে হবে তাহলে প্রতিষ্ঠানটি সয়াবিন তেল বাজারজাতকরণ করতে পারবে।
ভালো মানের ভোজ্যতেল বাজারজাতকরণের ক্ষেত্রে বিএসটিআই কর্তৃক ল্যাব থেকে অনুমোদনের লোগো থাকতে হবে এবং যে প্রতিষ্ঠানে সয়াবিন তেলে পরিশোধিত ও বাজারজাতকরণ করবে সেখানে একটি ল্যাব ও দক্ষ টেকনিশিয়ান থাকাতে হবে।
ল্যাবের মাধ্যমে সয়াবিন তেলের ব্যবহারিত উপাদান অনুমোদিত নিয়মে ব্যবহার করতে হবে,যেমন ভিটামিন ও আরো অন্যান্য বিভিন্ন উপাদান ভোজ্য তেলে ব্যবহার করা হয়ে থাকে ল্যাবের মাধ্যমে সঠিক পরিমাণে সেই উপাদানগুলো ব্যবহার করতে পারবে।
যে উপাদানগুলো স্বাস্থ্যকর মানসম্মত ভোজ্যতেল সয়াবিনে ব্যবহৃত হয় সেই উপাদানগুলো বিএসটিআই কর্তৃক অবশ্যই অনুমোদন থাকতে হবে, ল্যাবের অনুমোদন ও অনুমোদিত ল্যাব ছাড়া কোন প্রকার এগুলো সম্ভব নয়।
সংশ্লিষ্ট তথ্য অনুযায়ী দেখা যায় প্রতিষ্ঠানটি উৎপাদনের মেয়াদ ও মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ এবং মূল্য বিহীন, অবৈধ ভাবে বিএসটিআই এর লোগো ও হলুদের গুড়ার লাইসেন্স যার নং (৯৯১)ব্যবহার করে দীর্ঘদিন ধরে এই ভেজাল ভোজ্যতেল বাজারজাতকরণের করে আসছে শুধু তাই নয় প্রতিষ্ঠানটি ভেজাল ভোজ্যতেলের পাশাপাশি আরো অন্যান্য ভেজাল দ্রব্য উৎপাদন ও বাজারজাত করছে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে প্রতিষ্ঠানটি। যশোর সদর উপজেলার বাহাদুরপুর জেস গার্ডেন পার্কের পিছন সাইটে গড়ে উঠেছে এই অবৈধ ফ্যাক্টরিটি।
এ ব্যাপারে যশোরের পরিবেশ অধিদপ্তর, বিএসটিআই, ও ভোক্তা অধিকারসহ যশোর জেলা প্রশাসনের কামনা করেছেন সচেতন এলাকাবাসী।