নিজস্ব প্রতিনিধি, মোঃআব্দুল্লাহ আলমতি : সম্প্রতি এক কৃষককে মাদক মামলায় ফাঁসানোর ঘটনায় আলোচনায় আসেন তিনি। ওসিসহ তিন পুলিশ সদস্যের বিচার দাবিতে মানববন্ধনও হয়েছে। ঘটনা অনুসন্ধানে পুলিশের পক্ষ থেকে গঠন করা হয়নি তদন্ত কমিটি। ফলে এলাকায় তীব্র ক্ষোভ ও আতঙ্ক বিরাজ করছে। স্থানীয়রা বলছেন, ২০২৪ এর গণঅভ্যুত্থানের পরও তেমন কিছুই পরিবর্তণ হয়নি। পুলিশ চলছে আগের মতোই লাগামহীন। সাপাহার থানার ওসির নেতৃত্বে পুলিশের একটি সংঘবদ্ধ চক্র ভয়ভীতি দেখিয়ে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে অর্থ আদায় করছে বলে অভিযোগ তাদের। এতে মানুষের আইনের প্রতি আস্থা নষ্ট হচ্ছে। তদন্ত করে প্রকৃত অপরাধিদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইন প্রয়োগের দাবি সচেতন মহলের। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন ওসি আব্দুল আজিজ। তার দাবি- কিছু স্বার্থান্বেষী মহল সুবিধা না পেয়ে এসব করছে। আর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছেন, তদন্তে সত্যতা পেলে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ভুক্তভোগী কৃষক মামুনের বাবা তাইজুল ইসলাম তাজেল বলেন, দু-তিন মাস আগে রাত ১২টার দিকে এএসআই রেজোয়ান কিছু পুলিশ নিয়ে হঠাৎ আমাদের বাড়িতে তল্লাশি চালায়। কারণ জানতে চাইলে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে এবং হুমকি দেয় ‘চুপ থাক, না হলে ঘরবাড়ি গুঁড়িয়ে দিব’। গত ৪ তারিখ রাত ২টার দিকে মামুনকে ধরে নিয়ে যায় তারা। কলমুডাঙ্গা পূর্ব পাড়া জামে মসজিদের খতিব মাওলানা রমজান আলী বলেন, মামুন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজি ছেলে। তাকে কখনো কোনো প্রকার মাদক সেবন করতে দেখিনি। নিরপরাধ একটি ছেলেকে কিছু দুর্নীতিবাজ পুলিশ কর্মকর্তা মামলা দিয়ে গ্রেফতার করেছে। চৌমুহনী বাজারের ইলেকট্রনিক্স ব্যবসায়ী পারভেজ বলেন, আমার দোকানে মোবাইলের বৈধ কাগজপত্র থাকার পরেও এএসআই রেজোয়ান দোকান থেকে ২১টি মোবাইল ফোনসহ আমাকে ধরে নিয়ে যায়। ১১টি চোরাই মোবাইল ফোন উদ্ধার দেখিয়ে ১০টি গায়েব করে দেয় এবং সেই মামলায় আমাকে জেল হাজতে পাঠায়। ওসি আজিজ এবং রেজোয়ান সিন্ডিকেট এলাকায় নিরীহ মানুষদের হয়রানি এবং মামলা বাণিজ্য করে খাচ্ছে বলে অভিযোগ তার। কলমুডাঙ্গা মানব কল্যাণ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সভাপতি জিয়াউর রহমান মাস্টার বলেন, ওসি আব্দুল আজিজ সাপাহারে যোগদানের পর থেকেই বিভিন্ন নিরপরাধ মানুষকে মাদক মামলায় ফাঁসিয়ে মামলা বাণিজ্য করে যাচ্ছে। ওসি আব্দুল আজিজ বলেন, এগুলো একেবারেই মিথ্যা ও বানোয়াট। কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে অনুসন্ধান করছে।