বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী আজ। ১৯৮১ সালের এই দিনে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে একদল বিপথগামী সেনাসদস্যের হাতে নির্মমভাবে প্রাণ হারান তিনি।
শহীদ জিয়ার স্মরণে বিএনপি ২৫ মে থেকে ২ জুন পর্যন্ত দেশব্যাপী নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে আলোচনা সভা, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল, দুস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ এবং বিভিন্ন স্থানে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ।
জিয়াউর রহমান ১৯৩৬ সালের ১৯ জানুয়ারি বগুড়ার গাবতলীর বাগবাড়ীতে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা মনসুর রহমান ছিলেন কলকাতার একজন সরকারি কেমিস্ট। শৈশব কাটে গ্রাম ও কলকাতায়। দেশভাগের পর পরিবারসহ করাচিতে যান এবং ১৯৫৩ সালে পাকিস্তান মিলিটারি একাডেমিতে অফিসার ক্যাডেট হিসেবে যোগ দেন। ১৯৫৫ সালে তিনি কমিশন লাভ করেন।
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সূচনালগ্নে পাকিস্তানি বাহিনীর বর্বর আক্রমণের প্রেক্ষাপটে চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে ‘আমি মেজর জিয়াউর রহমান, বাংলাদেশ স্বাধীনতা ঘোষণা করছি’—এই ঐতিহাসিক ঘোষণা দেন তিনি। মুক্তিযুদ্ধে ১১ নম্বর সেক্টরের অধিনায়ক হিসেবে নেতৃত্ব দেন এবং বীরত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ ‘বীরউত্তম’ খেতাবে ভূষিত হন।
বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, “শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও বহুদলীয় গণতন্ত্রের অগ্রদূত। তাঁর আদর্শে উজ্জীবিত থেকে আমরা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি।”
বিএনপির এই কর্মসূচিতে দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীসহ সাধারণ জনগণ অংশ নিচ্ছেন। রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশের বিএনপি কার্যালয়গুলোতে শহীদ জিয়ার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে।