মোঃ ফজলুল কবির গামা: গত ৩০ শে অক্টোবর ২০২৫ ঝিনাইদহ সদর থানাধীন রাঙ্গিয়ারপোতা গ্রামে সকাল ৬.০০ ঘটিকায় ভিকটিম মোঃ ইসহাক এর মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে তার আত্মীয় স্বজন পুলিশকে সংবাদ দেয়। সংবাদ পেয়ে পুলিশ সুপার ঝিনাইদহ'সহ জেলা পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
ঘটনা সংক্রান্তে ঝিনাইদহ থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা রুজু হলে থানা পুলিশ হত্যার রহস্য উন্মোচনে কাজ শুরু করে। স্থানীয় এলাকায় ভিকটিম মোঃ ইসহাকের পুত্রবধূর পরকিয়া প্রেমের সম্পর্কের ঘটনা কানাঘুষা হওয়ায় তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় পরকীয়া প্রেমের ঘটনার সত্যতা পেয়ে থানা পুলিশ কর্তৃক ভিকটিম ইসহাকের পুত্রবধূ গ্রেফতার হন। গ্রেফতার পুত্রবধূ নয়ন তারা বিজ্ঞ আদালতে ফৌঃ কাঃ বিঃ ১৬৪ ধারা মোতাবেক পরকীয়া প্রেমের ঘটনা দেখে ফেলায় প্রেমিক রওশন কর্তৃক শ্বশুর হত্যাকান্ডের স্বীকারোক্তি প্রদান করেন। বিশদ অনুসন্ধানে জানা যায় যে, ভিকটিম মোঃ ইসহাক (৭০) পেশায় একজন কৃষক ছিলেন। তার দুইটি পুত্র সন্তান। বড় ছেলে জুলহক, তিনিও পেশায় কৃষক। ছোট ছেলে মিলন পেশায় চা দোকানী, ভিকটিম তার ছোট ছেলের সাথে থাকতেন। উভয়ের কেউই কোনো রাজনৈতিক দলের কর্মী/সমর্থক নন মর্মে জানা যায়। প্রকৃতপক্ষে মিলনের স্ত্রী নয়নতারার সাথে উল্লিখিত পরকীয়ার জেরে হত্যাকান্ডটি সংঘটিত হয় বলে জানা যায়।