প্রিন্ট এর তারিখঃ নভেম্বর ৪, ২০২৫, ৪:১২ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ অক্টোবর ২, ২০২৫, ৩:১৩ পি.এম
 যশোর জেলা পরিষদের ঐতিহ্য নষ্ট করে ‘সংস্কার’ 
  
         
  
        
    
    ১৮৮৬ সালে স্থাপিত বৃটিশ আমলের ঐতিহাসিক যশোর জেলা পরিষদের ভবনের দরজা-জানালা ভেঙে আধুনিক সাজে সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এতে জেলা পরিষদের ঐতিহ্য হারানোর শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
সম্প্রতি প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার (সিইও) কক্ষে সংস্কারের নামে দক্ষিণ পাশের দুটি দরজা, উত্তর পাশের দুটি জানালা ও পাশের ওয়াশরুম ভেঙে ফেলা হয়েছে। কিন্তু এই ব্যয় কোন খাত থেকে হচ্ছে—তা নিয়ে পরিষদের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও স্থানীয়দের মধ্যে নানা প্রশ্ন উঠেছে।
পরিষদ সূত্র জানায়, এস. এম. শাহীন উপসচিব পদে পদোন্নতি পাওয়ার পর ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তবে তিনি সিইও’র কক্ষ ব্যবহার না করে পূর্বের নির্বাহী কর্মকর্তার কক্ষেই বসছেন। এর মধ্যেই গত সেপ্টেম্বরের শুরুতে সিইও’র কক্ষে সংস্কারের কাজ শুরু হয়।
জেলা পরিষদের অর্থ ব্যয়ে মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন দরকার। কিন্তু এই সংস্কারকাজে দরপত্র আহ্বান বা পরিষদের মিটিং ছাড়াই দরজা-জানালা ভাঙা হয়েছে বলে অভিযোগ। একাধিক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, সংস্কারের খরচের কোনো সঠিক হিসাব নেই।
এ প্রসঙ্গে যোগাযোগ করা হলে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এস. এম. শাহীন সাংবাদিকদের বলেন, “সংস্কার খাতে অর্থ রয়েছে, সেখান থেকেই ব্যয় হচ্ছে। ৩ লাখ টাকার মধ্যে দরপত্র আহ্বান ছাড়া কাজ করা যায়।”
তবে পরিষদের নাগরিক সেবা সংক্রান্ত চার্টারে সংস্কার ব্যয়ের কোনো নির্দেশনা নেই। ঐতিহাসিক স্থাপনা বিনষ্ট করে এই ধরনের কাজ নিয়ে স্থানীয় বিভিন্ন মহলে তীব্র সমালোচনা চলছে।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ও বিভাগীয় কমিশনারের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন অনেকেই।
 
    
        
             © সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত