যশোর অফিস: যশোরের সাংবাদিক ও দৈনিক রানার পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক শহীদ আরএম সাইফুল আলম মুকুলের ২৭তম হত্যাবার্ষিকী নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালন করা হয়েছে।এউপলক্ষে শনিবার (৩০ আগস্ট) সকালে কালো ব্যাজ ধারণ করে তাকে শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় স্মরণ করে যশোরের সাংবাদিক সমাজ।
সকাল সাড়ে ১০টায় যশোর শহরের বেজপাড়া পিয়ারী মোহন রোডে মুকুলের স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে প্রেসক্লাব যশোর,সংবাদপত্র পরিষদ, সাংবাদিক ইউনিয়ন যশোর, যশোর সাংবাদিক ইউনিয়ন, যশোর জেলা সাংবাদিক ইউনিয়ন, বাংলাদেশ ফটোজার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন যশোর, দৈনিক গ্রামের কাগজ,লোকসমাজ, রানার, রাতদিন নিউজসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন।
পরে প্রেসক্লাব যশোরের আয়োজনে অডিটোরিয়ামে জ ও দোয়ার আয়োজন করা হয়। সভাপতিত্ব করেন প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টোকন এবং অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক এস এম তৌহিদুর রহমান। দোয়া পরিচালনা করেন মওলানা মুক্তার আলী। এছাড়া এরপর একই স্থানে সাংবাদিক ইউনিয়ন যশোরের উদ্যোগে পৃথক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়, যার সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি আকরামুজ্জামান এবং সঞ্চালনা করেন এস এম ফরহাদ হোসেন।এসময় শহীদ সাংবাদিকের ভাই কবিরুল আলম মুকুলকে স্মরণ করে বক্তব্য রাখেন।
আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টোকন, যশোর সংবাদপত্র পরিষদের সভাপতি একরাম-উদ-দ্দৌলা, সাধারণ সম্পাদক মবিনুল ইসলাম মবিন,প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আহসান কবীর,সাবেক সহসভাপতি নুর ইসলাম,সিনিয়র সাংবাদিক আব্দুল্লাহ হোসাইন এবং ফটোজার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন যশোরের সাধারণ সম্পাদক এম. আর.খান মিলন। দোয়া পরিচালনা করেন সাংবাদিক ইউনিয়নের সদস্য এস এম সোহেল।
বক্তারা বলেন,আর এম সাইফুল আলম মুকুলকে কোনো ব্যক্তিগত বা অর্থনৈতিক দ্বন্দ্বে হত্যা করা হয়নি। তাকে হত্যা করা হয়েছে সত্য প্রকাশের দায়ে। কিন্তু দুঃখজনক হলো, হত্যার ২৭ বছরেও বিচার হয়নি। অনেকেই এ বিষয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
তারা অভিযোগ করেন, রাজনৈতিক রঙ লাগানোর কারণে যশোরের দুই প্রথিতযশা সাংবাদিক সাইফুল আলম মুকুল ও শামছুর রহমান কেবলের হত্যার বিচার কার্যকর হয়নি। বক্তারা দ্রুত এ হত্যার বিচার সম্পন্ন করার দাবি জানান।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন লোকসমাজের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক আনোয়ারুল কবীর নান্টু, যশোর জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শেখ দিনু আহম্মেদ, যশোর সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি সাজেদ রহমান,সাংবাদিক ইউনিয়ন যশোরের সাবেক সভাপতি শহিদ জয়,
প্রেসক্লাব যশোরের যুগ্ম সম্পাদক আশরাফুল আজাদ,কোষাধ্যক্ষ জাহিদ আহম্মেদ লিটন, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক দেওয়ান মোর্শেদ আলমসহ, বিভিন্ন সাংবাদিক ও সংগঠনের সদস্যরা।
উল্লেখ্য,১৯৯৮ সালের ৩০ আগস্ট রাতে যশোর শহর থেকে নিজ পত্রিকা কার্যালয়ে ফেরার পথে সন্ত্রাসীদের বোমা ও গুলির হামলায় নিহত হন সাংবাদিক সাইফুল আলম মুকুল। দীর্ঘ ২৭ বছর পেরিয়ে গেলেও মামলাটি এখনো উচ্চ আদালতে স্থগিত রয়েছে।