যশোর অফিস: চৌগাছায় উপজেলা শিক্ষা অফিসার (টিইও) ও এক সাংবাদিকের ইন্ধনে সহকারী শিক্ষককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী কুলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. সোহেল আক্তার (২৯) সোমবার (২৫ আগস্ট) প্রেসক্লাব যশোরে সংবাদ সম্মেলন করে দোষীদের শাস্তি ও নিজের জীবনের নিরাপত্তা দাবি করেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান,গত ১৯ আগস্ট দুপুরে উপজেলা পরিষদের গেটের সামনে কয়েকজন অজ্ঞাত ব্যক্তি তাকে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি ও লাঠি দিয়ে আঘাত করে। এ সময় হামলাকারীরা বলে, “তুই টিইও মুস্তাকের বিরুদ্ধে কথা বলিস, সাংবাদিক আজিজ ভাইয়ের বিরোধিতা করিস।” তারা ডান চোখের উপরে আঘাত করে গুরুতর জখমও করে।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, রক্তাক্ত অবস্থায় উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে আশ্রয় নিলে সেখানে উপস্থিত সাংবাদিক আজিজুর রহমান ও টিইও মোস্তাফিজুর রহমানের সামনেই আবারও লাঞ্ছিত হন। সাংবাদিক আজিজুর রহমান তাকে লাথি ও থাপ্পড় মারলেও টিইও নির্বিকার থাকেন এবং পরে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ গোপন করার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ করেন শিক্ষক সোহেল।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি প্রশ্ন তোলেনএকজন সাংবাদিক কি প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীকে শারীরিকভাবে হেনস্তা করতে পারেন?টিইও কি প্রমাণ নষ্ট করতে পারেন?একজন শিক্ষককে তার সামনে মারধর করা হলেও তিনি নিশ্চুপ থাকলেন কেন?এসময় তিনি দোষীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. হাফিজুর রহমান জানান, তার বিরুদ্ধে অভিযোগ একসময় হয়েছিল, তবে তদন্তে প্রমাণিত হয়নি। সাংবাদিক আজিজুর রহমানের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে তিনি বলেন, “সব সাংবাদিকের সাথে পরিচয় আছে, তবে আজিজুর রহমানের সাথে কথা হয় বেশি।”
চৌগাছা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারজানা ইসলাম জানান, তিনি এ বিষয়ে কিছু জানেন না। তবে লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেবেন। সাংবাদিক আজিজুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।