নিজস্ব প্রতিবেদক : যশোর সদর উপজেলার সীতারপুর গ্রামের মোছাঃ রহিমা বেগম ও তাঁর বোনেরা পৈত্রিক সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত হওয়ার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। শনিবার (তারিখ উল্লেখযোগ্য) যশোর প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত এ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মোছাঃ রহিমা বেগম।
তিনি অভিযোগ করেন, তাঁদের পিতা মৃত গোলাম শেখ কোতয়ালী থানাধীন সীতারামপুর, বালিয়াডাঙ্গা ও হামিদপুর মৌজায় প্রায় ৬০ বিঘা জমির মালিক ছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি দুই পুত্র, তিন কন্যা ও স্ত্রীকে রেখে যান। কিন্তু ১৯৮২ সালে দুই ভাই তাঁদের অজ্ঞাতে জাল দলিলের মাধ্যমে সম্পূর্ণ জমি নিজেদের নামে নেন এবং ১৯৯০ সালে বোন ও মাকে বাদ দিয়ে রেকর্ড করে নেন। এর ফলে তিন বোন ও মা সম্পূর্ণ বঞ্চিত হন।
সংবাদ সম্মেলনে রহিমা বেগম জানান, বর্তমানে তাঁদের একটি বোন মরণব্যাধিতে আক্রান্ত হলেও চিকিৎসার খরচ বহন করা সম্ভব হচ্ছে না। অথচ পৈত্রিক সম্পত্তি থাকা সত্ত্বেও তাঁরা জমির এক কণা মাটিও ব্যবহার করতে পারছেন না। তিনি অভিযোগ করেন, জমির ভাগ দাবি করায় তাঁদের দুই ভাইয়ের সন্তানরা হুমকি দিয়ে আসছে। বিশেষ করে ভাইপো শওকত, যিনি জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে কর্মরত, তিনি তাঁদেরকে হুমকি দেন—“জমি দেবে না, প্রয়োজনে লাশ ফেলবে।”
এ ছাড়া সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, শওকতের প্রভাবে পূর্বে দায়ের করা মামলার নথিপত্র গায়েব করা হলেও পরবর্তীতে দুদক কমিশনার ও বিচারকদের হস্তক্ষেপে তা উদ্ধার হয়। বর্তমানে হামিদপুর মৌজার ১৪৭ শতক জমির উপর থাকা একটি জলাশয়/পুকুর গোপনে বিক্রির ষড়যন্ত্র চলছে বলে দাবি করেন তাঁরা।
তাঁদের দাবিগুলো হলো—
১. পৈত্রিক সম্পত্তি যথাযথভাবে সকল ওয়ারিশের মাঝে বণ্টন নিশ্চিত করা।
২. জলাশয়/পুকুর বিক্রিতে প্রশাসনিকভাবে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা।
৩. শওকত ও তাঁর সহযোগীদের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ।
৪. দায়েরকৃত মামলার দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য প্রশাসনিক সহায়তা প্রদান।
৫. গরিব ও অসহায় মেয়েদের সম্পত্তির অধিকার রক্ষা ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা।
সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে রহিমা বেগমসহ তাঁর বোনেরা সাংবাদিক সমাজ ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।