মাগুরা প্রতিনিধি : মাগুরা সদর উপজেলার চাউলিয়া ইউনিয়নের বলেশ্বরপুর গ্রামে ছাবিনা বেগমের উপর অমানুষিক নির্যাতন, অত্যাচার, মারধর ও বাড়িসহ ৯ শতক জমি বিক্রির অভিযোগ উঠেছে পাষণ্ড স্বামী মনিরুল ইসলাম জব্বার এর বিরুদ্ধে।
গত ছয় মাস পূর্বে মাগুরা সদর থানার অভিযোগ সূত্রে জানা যায় মোছাঃ ছাবিনা বেগম (৩৫), স্বামী- মোঃ মনিরুল ইসলাম, সাং- বলেশ্বরপুর, থানা ও জেলা মাগুরা। বিবাদী ১। মোঃ মনিরুল ইসলাম, সাং- বলেশ্বরপুর, থানা ও জেলা মাগুরা এর বিরুদ্ধে অভিযোগ এই যে, উক্ত বিবাদী আমার স্বামী। তাহার স্বভাব চরিত্র ভালো না। সে তাস-জুয়া খেলা করে। সংসার জীবনে আমাদের ৩ টা কন্যা সন্তান জন্ম গ্রহণ করে। মাঠের জমিজমা বিক্রয় করিয়া তাস জুয়া খেলা করে ক্ষতিগ্রন্থ করিতেছে। বর্তমার আমার বসত বাড়ীর জমি ছাড়া আর কোন জমি জায়গা নাই। বিবাদী বসত বাড়ীর জমিজায়গা বিক্রয় করার জন্য চেষ্টা করিতেছে। উক্ত বিষয় নিয়ে আমি কথা বল্লে বিবাদী ধারালো অস্ত্রপাতি নিয়ে আমাকে ও আমার কন্যা সন্তান মনিরা, তানজিলা ও তাসমিয়া কে আক্রমন করে। বিবাদী ২। মোঃ শরিফুল, পিং আলী আহমাদ, ৩। মোঃ শাহিদুল, পিং আলী আহম্মদ, ৪। মোঃ আকিদুল, পিং আলী আহম্মদ, ৫। মোছাঃ কুলছুম, স্বামী আলী আহমাদ, সর্ব সাং বলেশ্বরপুর, থানা ও জেলা মাগুরাগণ আমার বসত বাড়ীর জমি ক্রয় সংক্রান্তে কথা বার্তা বলে। তখন আমি বলি যে, বাড়ীর জমি বিক্রয় করলে আমরা সকলে বসবাস করবো কোথায়। তখন ০১ নং বিবাদী মনিরুল ইসলাম জব্বার মুন্সি অন্যান্য বিবাদীদের সহায়তায় আমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে কিল ঘুষি চড় থাপ্পড় মারিয়া ফোলা জখম করে এবং ধারালো অস্ত্রপাতি নিয়ে আমাদেরকে আক্রমন করে। আমার ধারণা সকল বিবাদীরা জমি সংক্রান্তে আমাদেরকে খুন জখম করিতে পারে।
মোছাঃ ছাবিনা বেগম জানান সাম্প্রতিক সময়ে পাষন্ড স্বামী মনিরুল ইসলাম জব্বার আমার হাত ভেঙ্গে দিয়েছে, চোখে কিল-ঘুষি ও সমস্ত শরীরে আঘাত করেছে এবং দা নিয়ে সবসময় আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে। মেয়েদের কে মারধর করে এবং বাড়ি সহ ৯ শতাংশ জমি বিক্রি করার জন্য প্রতিবেশী আলী আহমেদ এর তিন ছেলের কাছে থেকে টাকা বায়না নিয়েছে এবং তাদেরকে জমি বিক্রি করার পায়তারা করছে। আমি তিন মেয়ে নিয়ে এখন কোথায় যাবো প্রশাসনের কাছে আমি অপরাধীদের বিচার ও শাস্তির দাবি জানিয়ে আমিসহ আমার তিন মেয়েকে বাড়ি সহ জমি লিখে দিক এটা আমার চাওয়া।
এবিষয়ে মনিরুল ইসলাম ও আলী আহমেদ এর তিন ছেলে শরিফুল, শাহিদুল ও আকিদুলের সাথে যোগাযোগ করা হলে তাদেরকে বাড়ি পাওয়া যায়নি।