মাগুরা প্রতিনিধি: মাগুরা জেলার মহম্মদপুর উপজেলার বাবুখালী ইউনিয়নের ডুমুরশিয়া ডি.সি. মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোছাঃ লিপি খাতুন এবং বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী (ক্লার্ক) মাসুদ মোল্লার বিরুদ্ধে নানা অপকর্মের অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ ও অনুসন্ধানে উঠে এসেছে একাধিক গুরুতর অনিয়মের তথ্য।
বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে থাকা ৯টি দোকানের ভাড়ার টাকা ব্যক্তিগতভাবে আত্মসাৎ করছেন প্রধান শিক্ষক যা বিদ্যালয়ের কোনো ফান্ডে জমা দেওয়া
হয়নি।
এছাড়া মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস থেকে পাওয়া ৫ লক্ষ টাকার প্রকল্পেরও কোনো কার্যকারিতা নেই। প্রকল্পের টাকা কোথায় বা কিভাবে তা ব্যয় হয়েছে তার কোনো হিসাব-নিকাশও নেই।
এছাড়া বিদ্যালয়ের পুকুর ইজারা বাবদ প্রায় ২ লক্ষ টাকা আয় হলেও তার কোনো রসিদ বা টেন্ডারের কাগজপত্র দেখাতে পারেননি সংশ্লিষ্টরা। অর্থাৎ পুরো টাকাটাই গায়েব!
সবচেয়ে আলোচিত বিষয় হচ্ছে, বিদ্যালয়ে “সততা স্টোর” নামে একটি দোকান থাকার দাবি করলেও বাস্তবে তার কোনো অস্তিত্ব নেই। অথচ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে জোরপূর্বক ১০ টাকা করে খাতা বিক্রি করা হচ্ছে, যার প্রমাণ ভিডিওসহ পেয়েছেন স্থানীয় সাংবাদিকরা।
এক ভিডিও ফুটেজে প্রধান শিক্ষক নিজেই বলেছেন, “আমার সততা স্টোর আছে।” কিন্তু মাঠ পর্যায়ের অনুসন্ধানে তার কোনো অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।
স্থানীয়রা বলছেন, এ যেন পুরো পুকুর চুরি!একজন অফিস সহকারী ক্লার্ক মাসুদ মোল্লা আর প্রধান শিক্ষক লিপি খাতুনের নেতৃত্বে বিদ্যালয়টি যেন দুর্নীতির আখড়া হয়ে উঠেছে। প্রধান শিক্ষকের কাছ থেকে খাতা না কিনলে অন্যদের খাতা ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া হয়।
এই প্রধান শিক্ষকের সাথে অফিস সহকারী মাসুদ মোল্লার অনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে বলে গুঞ্জন চলছে।
এ বিষয়ে মাগুরা জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন এলাকাবাসী।