গোপালগঞ্জে ১৬ জুলাইয়ের সহিংসতা নিয়ে সরকার কড়া অবস্থানে রয়েছে বলে জানালেন স্বরাষ্ট্র-উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, যারা সহিংসতায় জড়িত, তাদের সবাইকে গ্রেফতার করা হবে—কাউকে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। তিনি আরও জানান, গোয়েন্দাদের কাছে কিছু তথ্য থাকলেও, এতটা সহিংসতা হবে-সে আকারের পূর্বাভাস ছিল না। তবে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় ব্যর্থতার অভিযোগ বিষয়ে তিনি সরাসরি জবাব না দিয়ে বলেন,আপনারাও তো অনেক কথা বলতে পারেন—যার যা বক্তব্য, সে সেটা দেবে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, সরকার ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছে এবং ভবিষ্যতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হবে। তিনি বলেন, গোপালগঞ্জে এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক।
এর আগে গোপালগঞ্জের ঘটনাকে ছাত্রনেতা হত্যার পরিকল্পিত প্রচেষ্টা বলে আখ্যা দিয়েছেন শহীদ তাজউদ্দীন আহমদের পুত্র ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী সোহেল তাজ। তার ভাষ্য,আমি আশ্চর্য হবো না যদি ডেভিল রানী নিজেই এর নির্দেশ দিয়ে থাকেন।
তিনি অভিযোগ করেন,দেশটাকে শেষ করে বিদেশে পালিয়ে গিয়েও এখন দেশ ধ্বংসের ষড়যন্ত্র করছে। সারা দেশে গোপালগঞ্জের মতো সন্ত্রাসী কায়দায় কার্যকলাপ চালানোর নির্দেশ দিচ্ছে। এদিকে এনসিপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, হামলায় অংশ নেয় আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের সশস্ত্র কর্মীরা, যাদের সাথে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাংশের ‘নীরব সমর্থন’ ছিল। এই পরিস্থিতিকে কেন্দ্র করে গোপালগঞ্জে কারফিউ জারি রয়েছে, এবং শহরজুড়ে রয়েছে থমথমে অবস্থা।