প্রিন্ট এর তারিখঃ জুলাই ২৭, ২০২৫, ১০:৫৯ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ জুলাই ১২, ২০২৫, ৩:৩৬ পি.এম
আইনশৃঙ্খলা উন্নত করুন, অন্যথায় স্বরাষ্ট উপদেষ্টা পদত্যাগ করুন – যশোরে বাম নেতা ভিটু
যশোর অফিস : দেশে চাঁদাবাজি, খুন, ধর্ষণ ও গণপিটুনিসহ নানা অপরাধের প্রতিবাদে যশোরে এক বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার দুপুরে প্রেসক্লাব যশোরের সামনে সাধারণ ছাত্র-জনতার ব্যানারে অনুষ্ঠিত এই প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি, বিচারহীনতা এবং কয়েকটি রাজনৈতিক দল ও স্বরাষ্ট উপদেষ্টার কঠোর সমালোচনা করেন। এমনকি প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবিতে রাজপথে নামার হুশিয়ারি দেন।
সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের কেন্দ্রীয় নেতা কমরেড জিল্লুর রহমান ভিটু বলেন, দেশে যে হারে চাঁদাবাজি, খুন, ধর্ষণ ও গণপিটুনির ঘটনা বাড়ছে, তা মেনে নেওয়ার মতো নয়। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নত করতে না পারলে এই মুহূর্তে স্বরাষ্ট উপদেষ্টাকে পদত্যাগ করতে হবে। প্রয়োজনে আমরা প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবিতে রাজপথে নামবো।
তিনি আরও বলেন, মিডফোর্ড হত্যাকাণ্ডের ভিডিও যে কেউ দেখলে ভাষা হারিয়ে ফেলবে। একটি স্বাধীন দেশে একজন অপরাধীরও বিচার পাওয়ার অধিকার থাকা উচিত। ফ্যাসিবাদকে সরিয়ে দিয়ে কি আমরা বিচারহীনতা প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলাম? যার যা ইচ্ছে তাই ঘোষণা দেবে, দশ-বিশজন ডেকে এনে যা ইচ্ছে তাই করবে, এভাবে কোনো স্বাধীন রাষ্ট্র চলতে পারে না।
কমরেড ভিটু অভিযোগ করে বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান দায়িত্ব ছিল একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নির্বাচন দিয়ে জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করা। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, দেশ সংস্কারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে দ্বৈত নাগরিকদের হাতে, যা সরাসরি সংবিধান পরিপন্থী বলে দাবি করেন তিনি।
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের জেলা সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় নেতা কমরেড তসলিম উর রহমান।তিনি বলেন, শেখ হাসিনাকে হটিয়ে ভেবেছিলাম বৈষম্য দূর হবে। কিন্তু বাস্তবতা বলছে, এখনও সেই পুরনো বৈষম্য, নিপীড়ন চলছে। ছাত্র-জনতার রক্ত কখনও বৃথা যায় না। সময় এলে তারা আবার রাজপথে নামবে।অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাহিদ আব্বাস, ফরহাদ শেখ, খান জাহান আলী শান্ত, হারিস, মামুন রহমান প্রিন্স, রুবাইয়া খন্দকার, তারেক হোসেন, আবু সাইদ প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন ইমরান খান। প্রতিবাদ সমাবেশে ৩০ থেকে ৩৫ জন অংশ নেন। নেতৃবৃন্দ জানান, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যবিপ্রবি), এম.এম কলেজ, সিটি কলেজ, আব্দুর রাজ্জাক মিউনিসিপ্যাল কলেজসহ জেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এই কর্মসূচিতে অংশ নেন, যারা জুলাই আন্দোলনের সময়ও রাজপথে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন।
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত